বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রায় প্রতিটি কোম্পানি নিজেদের ব্যবসা প্রচারের জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইনসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে। তবে শুধু এসব প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য যথেষ্ট নয়। একটি কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা আজকের দিনে অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়েবসাইট একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল পরিচয়পত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ বা প্রোফাইল তৈরি করা সহজ হলেও সেগুলো সবসময় কোম্পানির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। প্ল্যাটফর্মের নীতি পরিবর্তন বা টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে, ওয়েবসাইট কোম্পানির নিজস্ব সম্পদ—যেখানে কনটেন্ট, পণ্য, সেবা ও ব্র্যান্ড ইমেজ পুরোপুরি নিজের মতো করে সাজানো যায়।
এছাড়া, গ্রাহকরা যখন গুগলে সার্চ করেন তখন প্রথমেই ওয়েবসাইটের তথ্য ভেসে ওঠে। এটি শুধু ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় না, বরং পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগও দেয়। একইসাথে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট, বুকিং সিস্টেম বা ই-কমার্স যুক্ত করে সরাসরি বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টরা মনে করেন, ফেসবুক পেজ নতুন গ্রাহক আকর্ষণে কার্যকর হলেও ওয়েবসাইট ছাড়া ব্যবসার স্থায়ী ব্র্যান্ডিং সম্ভব নয়। তাই কোম্পানির উচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি একটি পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করা।